মাহমুদুল ইসলাম সোহাগ,(নীলফামারী) ডিমলা প্রতিনিধিঃ-
করোনা বা (কোভিড-১৯) মহামারী দমাতে পারেনি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে। দেশের অন্যান্য খাতসমূহে সমসাময়িক বিপর্যয় ঘটলেও বর্তমান সরকারের যুগ উপযোগী সিদ্ধান্ত, প্রয়োজনীয় প্রণোদনার প্যাকেজ ঘোষণা ও সহায়তা সহ বাস্তবায়নের কারণে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি পূর্বের ন্যায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশ আজ উন্নত দেশে রূপান্তরীত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় কৃষি ও কৃষি যন্ত্রপাতির বৈপ্লবিক উন্নতি সাধিত হয়েছে ।
আধুনিক যন্ত্রপাতি, উন্নত এবং পরীক্ষিত বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে সরিষা চাষে অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছে ডিমলা উপজেলার কৃষক। মাঠের পর মাঠ সরিষার আবাদ করেছেন কৃষককূল। যেদিকে চোখ যায় বিস্তীর্ণ হলুদের সমারোহ। যেন দিগন্ত ছুঁয়েছে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে। শীতের সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন হলুদ ফুলের মনমাতানো মৌ-মৌ গন্ধ আর অপরূপ দৃশ্য আকৃষ্ট করে যে কারো মনকে। ডিমলার তিস্তার চরাঞ্চলে মাঠের পর মাঠ সরিষার আবাদ হচ্ছে এখন। একচিমটি জমি পতিত রাখার সময় এখন নাই কারো।এখন সরিষার ফুল ধরার সময়।
এ অপরুপ দৃশ্য দেখে মনে করে, কৃষকরা যেন তাদের ক্ষেতে রাশি রাশি সোনা ছড়িয়ে রেখেছে প্রকৃতি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের শোভা পাচ্ছে ক্ষেতময় ক্ষেত। ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নেই এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে যা চোখে পড়ার মতো। অল্পকিছু দিনের মধ্যে কৃষকের ঘরে উঠবে এ সরিষা।
এ উপজেলার অনেক ফসলি জমিতে এ বছর সরিষার অাবাদ হয়েছে। তাই কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা বারি-১৪,১৫ জাতের সরিষা ৫-৬ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হয়। বারি-১৪,১৫ জাতের সরিষার জাত ৮০-১০০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। ঘন কুয়াশা বা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করা যায় এবার সরিষার ভালো ফলন হবে। এবার দাম ভালো পেলে আগামীতে কৃষকেরা সরিষা চাষে আরও বেশি আগ্রহী হবে।