সাইফুল ইসলাম,ডেস্ক রিপোর্টঃ ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। গ্রীষ্মের চৈত্রের দাবদাহের রুক্ষ্মতার অবসানেই প্রকৃতিতে নির্মল পরশ ও সজীবতা নিয়ে হাজির হয় রিমঝিম বর্ষা। অঝোরো ধারার রিমঝিম বর্ষার শেষেই সাদা শুভ্র কাঁশফুলের হিমেল দোলায় শরৎ এর আগমন ঘটে।
শরতের শুভ্রতার শেষেই হেমন্তের সেই নবান্নের পিঠা পায়েসের মৌ মৌ গন্ধে সুবাসিত হয় আবহমান বাংলার গ্রামীন প্রকৃতি।
ধীরে ধীরে পত্র পল্লবের শিশির বিন্দুরা জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা। পৌষ ও মাঘের হিমশীতলতায় কখনো হাড়কাপুনি শৈত্য প্রবাহে নিস্তব্ধতায় ভারী হয় সমস্ত প্রকৃতি।
শীতের সেই নিরবতা ভেঙেই প্রকৃতিতে শুরু হয় ফাল্গুনী স্পন্দন। কোকিলের সুমধুর কুহুতানে ও বাগান বিলাসী রঙিন ফুলেরা সাজে বসন্তের আগমনে। ঋতুরাজ বসন্তের বর্নিল আভায় সমস্ত প্রকৃতি নবরুপে করে বুনো উল্লাস।
প্রকৃতি আজ অপরুপ আয়না।
ভরা যৌবনা এক রুপসী ললনা।
বসন্তের এই নব জাগরনে বলতে ইচ্ছে করে…
আজি পুলকিত মন।
ফাগুনের রংয়ে বিমুগ্দ্ব দু’নয়ন।
বয়ে সিগ্ন্দ্ব সুবাসিত সমীরণ।
অবিরাম বাঝে ভ্রমরের গুঞ্জন।
ফুলে ফুলে করে উড্ডয়ন।
কোকিলের গানে গানে
পাখপাখালিরা করে আলিঙ্গন।
দক্ষিনা বাতায়নে জাগে মৃদু শিহরণ।
এ যে বসন্তের ফাল্গুনী স্পন্দন।