মেহেদী হাসান
(জেলা প্রধান) জামালপুর,
বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের স্থলপথে আমদানি-রফতানি তথা বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে কয়টি শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব ঘোষিত স্থলবন্দরের মধ্যে ধানুয়া কামালপুর অন্যতম। বর্তমানে এ বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টারের রাজ্যগুলোর অন্যতম মেঘালয়ের সঙ্গে এ বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সম্পাদিত হচ্ছে।
ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরটি ঘিরে গরে উঠেছে বিশাল জনগুষ্ঠি। পূর্ণাঙ্গ রূপে সজ্জিত হবে জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর। এটির অবকাঠামো সুবিধা বাড়াতে ‘ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি এবং রফতানিকৃত মালামাল সংরক্ষণ ও পার্কিং সুবিধা তৈরি হবে এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করেছে পরিকল্পনা কমিশন চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বৈশ্চিক মহামারীর কারনে কাজ অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী সোম বার দৈনিক সাহসী কন্ঠকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে মেঘালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা অনেক বাড়বে। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যেমন শ্রমিক, দোকানদার, আমদানি-রফতানিকারক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবারই কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়া জামালপুরের বকশিগঞ্জ এলাকাটির রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ। এখন কানেকটিং রোডগুলো সব ভালো হবে। ফলে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।