মেহেদী হাসান সজীব, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সেনা অভ্যুত্থান ও সুচি-র মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছে। ২০০৭-এর পর এতবড় বিক্ষোভ আর মিয়ানমারে হয়নি।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ও সুচি সহ বিভিন্ন নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ দেখাল সাধারণ মানুষ। তাও কয়েকশ বা কয়েক হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষ প্রতিবাদ করলেন সেনা শাসনের বিরুদ্ধে। দেশের প্রধান শহর ইয়াঙ্গন সহ অন্তত ১২টি ছোট-বড় শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গর্জন করেছেন, ‘আমরা সেনার শাসন চাই না, আমরা গণতন্ত্র চাই।’
তৃতীয় দিনের মতো মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ চলছে। দেশব্যাপী চলমান এ আন্দোলনে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাজধানী নাইপিদো’তে এ ঘটনা ঘটে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি’র মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে এসেছে। মিয়ানমারে গত এক দশকেরও বেশি সময় এতো বড় বিক্ষোভ দেখা যায়নি।
এদিকে, সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, জনগণের নিরাপত্তা ও আইন লঙ্ঘন করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গেল কয়েক দিন আগে থেকেই এই সেনা সমর্থিত সরকার বিক্ষোভ ঠেকাতে ইন্টারনেট সহ ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম সহ সব ধরনের সোস্যাল মিডিয়া গোটা মিয়ানমার জুড়ে বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখল করে এবং অং সান সুচি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের গৃহবন্দি করে। এছাড়া, দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
তথ্যসূত্র- বিবিসি