নিজস্ব ডেস্ক :
এক বাবা হারানো ছেলের আকুতি, আামাদের সমাজ কোন দিকে যাচ্ছে?
হুভাহু তানভীর এর পোষ্ট টি তুলে ধরা হলো।
“স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও এমন ঘটনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় একদমই অকল্পনীয়। আমার বাবাকে নিজ বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে সন্তাসীরা তাদের বাসায় নিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ঐ সন্তাসীরাই আব্বুর লাশ আমাদের বাড়ি দিয়ে যায়। হয়তো ১৯৭১ সালে এমন ঘটনা ঘটেছে কিন্তু আমার লাইফে এমন ঘটনার কথা দেখা তো দূরের কথা কখনো শুনি নাই যে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ছেলে মেয়েদের কাছে দিয়ে আসে।
এই সন্তাসীরাই এক মাস আগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানকে (২৪) কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশ হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলার আসামি সোহেল খানকে প্রধানসহ মোট ১৪ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছিলো। সোহেল দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামের বদির খানের ছেলে। কিন্তু এক মাসের মধ্যই জামিন হয়ে যায়।
রেজওয়ানের ছেলে মো: তানভীর বলেন,১৩/১৪ টি খুনের আসামি হয়েও তারা বুক ফুলিয়ে খুনের পর খুন করে চলেছে, হয়তো তারা প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে যাবে, কিন্তু সর্বশেষে আমরা চার ভাই বোন তো এতিম। এতিমদের জন্য কি দেশ রত্ন শেখ হাসিনার বাংলাই কোন বিচার নাই।
মাশরাফী ভাই আমাদের এলাকার এমপি। ভাইয়ের কি এতিমদের জন্য কিছু করানীয় নাই। নড়াইলের দিঘলিয়া ইউনিয়নে প্রতি বছর কয়েকটি খুন হয় কিন্তু একটীরও বিচার হয় না। আমরা চার ভাই বোন শুধু আমাদের বাবার খুনিদের ফাঁসি চাই।আমার আব্বুর খুনিদের কি বিচার হবে না? বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কি বাবার খুনের বিচার হবে না? আমরা কি বিচার পাব? ”
দেশরত্ন আপনি এই এতিমদের ন্যায় বিচার দিবেন সেই আশায় রইলাম। বাবা না থাকলে যে দুনিয়াটা শূন্য। দেশরত্ন এই এতিমরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে তার বাবার খুনের বিচারের আশায় ।