মেহেদী ফেরদৌস,বামনা প্রতিনিধিঃ না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাবা মা ভাই । সম্বল আছে বাবার রেখে যাওয়া ভিটা। এবার সেটুকুও দখল করে বসেছেন আত্মীয়রা। বিচার দাবি করা হয়েছিল স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে। তিনিও করেননি সুরাহা। তাই ন্যায় বিচারের দাবিতে বাধ্য হয়ে ছোট দুই বোনকে নিয়ে আমরণ অনশনে নেমেছেন রুবি আক্তার।
অনশনকারী তিন বোনের বাড়ি রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামে। দ্বীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে রুবি এবং ছোট দুই বোনের দায়িত্ব নেন। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সামান্য সম্পত্তিটুকুও দখল করে নিয়েছে আত্মীয়রা। তাদের তিন বোনর বাবার রেখা যাওয়া সম্বলে ঢুকতে দিচ্ছেন না তারা।
রবিবার থেকে বরগুনার বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের নিচে আমরণ অনশনে বসেছেন তারা। তাদের পিতৃসম্পত্তি ফিরে পাওয়া ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিন বোন সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
পোশাক শ্রমিক রুবি আক্তার জানান গোলাঘাটা গ্রামের মো. কিসলু মিয়া, মো. শাহজাহান, মো. আশ্রাফ আলী ও আ. মান্নান তার আত্মীয়। বাবা মারা যাওয়ার পরে তিনি ভাই আল আমীনকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন। সেখানে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই মারা যায়। এই সুযোগে আত্মীয়রা তাদের জমি দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছে। এখন জমি ফেরত দিচ্ছে না তারা। বরং তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত এক ভোগদখলকারী চাচাতো ভাই মো. শাহজাহান জানান, আমরা রুবি আক্তারদের কোনো জমি ভোগ দখল করিনি। তার বাবা আমাদের কাছে কিছু জমি বিক্রি করেছেন। এখনো ওদের বসত ঘরটি পড়ে আছে। সেখানে এসে তারা থকতে পারে