আল আমিন,ডেক্স রিপোর্টঃ
প্রতিবারের মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইচআইভি রোগী চিহ্নিত করা হয়। দেশে বর্তমানে এইচআইভি/ এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার।
এসব রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ৭ হাজার ৩৭৪ জন।
এখনো শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে প্রায় ৭ হাজার। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আছে ১০৫ জন। দেশে এই রোগে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪২ জনের।
আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৫৭২ জন, চট্টগ্রামে ২ হাজার ৮ জন, সিলেট বিভাগে ১ হাজার ১৯ জন রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, দেশের ২৩টি জেলা বেশি এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে সারা দেশে ২৮টি এইচটি সেন্টার আছে। জিন এক্সপার্ট মেশিন দ্বারা এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে এইডস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৮ মিলিয়ন। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ মিলিয়ন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সহজলভ্য ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০২০’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, এবারের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে।