মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শান্ত,ডেস্ক রিপোর্টারঃ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলোজির পূরকৌশল অনুষদের এলামনাই এসোসিয়েশন ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রথমে কেক কাটার মধ্য দিয়ে ৬.৩০ মিনিটে আই.ইউ.বি.এ.টি ওপেন অডিটরিয়ামে উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিসি জনাব প্রফেসর ড. আব্দুর রব, ট্রেজারার এবং ডিরেক্টর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেলিনা নার্গিস, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিন ও সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান ড.মনিরুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিভিল ডিপার্টমেন্টের সহকারি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান খাঁন, সিনিয়র প্রভাষক নাহিদুল ইসলাম, প্রফেসর শুভাশ চন্দ্র পাল, সিনিয়র প্রভাষক হিশামুর রহমান, প্রভাষক সুমনা মল্লিক,প্রভাষক সুমাইয়া জেরিন আহমেদ, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার খাজা শিহাব উদ্দিন,
অ্যালাইমুনাই অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি প্রকৌশলী লেহাজ উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রিন্স ছাড়াও বর্তমান ও সাবেক অনেকেই।
এছাড়াও অনেক এলামনাই ও শিক্ষার্থী অনলাইনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আই.বি.এ এর সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড.এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান এর স্মৃতিচারণ এবং দেশের উচ্চশিক্ষায় আইইউবিএটির অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.আবদুর রব। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন করে পেশাদারি গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এছাড়াও ট্রেজারার এবং ডিরেক্টর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেলিনা নার্গিস সহ আরও অনেকে তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
পরিশেষে ড.মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন আমাদের এলামনাইরা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এলামনাইগন অভ্যন্তরীন শিক্ষার্থী এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যানার্থে সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন, যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা— প্রয়োজনে মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% বিশেষ বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯০ টি বৃত্তি দেয়া হয় আই.ইউ.বি.এ.টি তে। মোট কথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি পূরকৌশল অনুষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।
আই.ইউ.বি.এ.টির স্লোগান হলো ‘অ্যান এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন ফর লার্নিং’। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সময়োপযোগী ও মানসম্মত পাঠদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাই আইইউবিএটি শিক্ষার মান উন্নত। শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় বিষয়েই শিক্ষা লাভ করে। তাত্ত্বিক ক্লাসে তার বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করে এবং সিমুলেশন, প্রজেক্ট, গবেষণা, উপস্থাপনা ইত্যাদির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের ব্যবহার করে দক্ষতা লাভ করে। শিক্ষার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক শিক্ষকদের সাথে সংযুক্ত থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা লগ্ন হতে পূরকৌশল অনুষদ গৌরবের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে, ছোট্ট পরিসরে অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।