
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহঃ জনগণের ভোটাধিকারকে উপেক্ষা করে নেতার মনগড়া পক্ষপাতিত্বের কারণেই সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা,বিভেদ আর হানাহানি।আসন্ন ১৬ জানুয়ারি মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।মেয়র প্রার্থী,এমন কি কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণায়ও সরাসরি বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।পৌরবাসীরা ধারণা করছেন যে, ১৬ জানুয়ারি ভোটের দিন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে বড় ধরনের ভোট চুরির সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। তাই অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমুলক পৌর নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য,প্রশাসনকে ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে লক্ষ্য করে আওয়ামীলীগের একাংশ ও অন্যান্য দল-মত-নির্বিশেষে ১৩ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ-জনতা মঞ্চের ব্যানারে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সামনে এক দীর্ঘ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আবুল কাসেম বলেন,আমার ভোট আমি দিব,কোনো সন্ত্রাসীর ভয়ে আমার ভোটাধিকার হরণ করতে দিব না। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধেও আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি, ১৬ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনেও আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।তিনি আরো বলেন,আপনারা সকলেই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন,কোন সন্ত্রাসীকে ভয় পাবেন না।
মানববন্ধনে মুক্তাগাছা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ বলেন,ভোট হবে সুষ্ঠুভাবে, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ভোটের দিন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে আসলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।তিনি আরো বলেন,মুক্তাগাছার মানুষ শান্তিপ্রিয়।তাই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।তিনি মুক্তাগাছার বর্তমান সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কে এম খালিদ বাবুকে লক্ষ্য করে বলেন,পক্ষপাতিত্ব নয় বরং আপনি নির্বাচনকে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।অন্যথায় ভোটের দিন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে,ভোট চুরির মত ঘটনা ঘটলে মুক্তাগাছার মানুষ আপনাকেও ছাড় দিবে না।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন,স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।বক্তৃতা দানকারী সকলের দাবি একটাই, ভোট সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে,অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ স্থানীয় প্রশাসনকেই করতে হবে।