আমির হোসেন, হাতিয়া প্রতিনিধি।
অবহেলিত হাতিয়ার জনগণ!
শোষণ আর নির্যাতন নিত্য দিনের সঙ্গী।
নোয়াখালী জেলা হাতিয়ার মানুষ খুবই অসহায়। হাতিয়া দ্বীপ হওয়ায় যাতায়াতের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছেন শহরে।
কিছু দিন আগে ঢাকা থেকে হাতিয়ার যাওয়ার কিছু কথা তুলে ধরে ছিলাম সাহসী কন্ঠে।
আজ যারা ঢাকা বা চট্রগ্রাম হতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী হয়ে চেয়ারম্যান ঘাট টু হাতিয়া যাওয়া আসা করে তাদের দুঃখ কষ্টের কিছু কথা তুলে ধরবো।
সরকারি দুটি যাত্রী বাহী সী ট্রাক থাকলেও তার অবস্থা খুবই খারাপ। প্রায় বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়। এতে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না।বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে যেতে হয়।তাতে দিতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া।
প্রায় ঘাটে দায়িত্বে থাকা কিছু লোক এবং কুলিরা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে। গায়ে হাত ও তোলে।দুর ভাগ্যের বিষয় কিছু পুলিশ থাকেলও তাদের বলে কোন লাভ হয় না।কারন তা ক্ষমতাসীন দলের লোক।ঐ সব হিজরা মার্কা পুলিশ দিয়ে কিছু হয় না।তারা ডিউটি শেষে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার বিষয়ে ব্যস্ত। যারা টাকা খেয়ে সৎ এবং ভালো পুলিশ গুলোর সুনাম নষ্ট করে। এমন টায় নিত্য দিনের ঘটনা।
আজ হঠাৎ সি ট্রাকের ভাড়া ৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করে পেলছে। কিন্তু কিছু করার নেয়।তারা নেতা। তারা হাতিয়ার হুজুরের লোক।
কবে এই পথে মানুষ চলাচল করে একটু সস্তি ভাবে তা হয়তো আল্লাহ ভালো জানে।
যাত্রীদের সু ব্যবস্থার নামে কিছু স্পীড বোট অছে ভাড়া ৪০০ টাকা। কথা বললে বা ভাড়া বেশি তা বললে ৫০০ টাকা।
যেখানে মনপুরা এবং স্বনদ্বীপের যে স্পীড বোট চলে দুরত্ব চেয়ারম্যান ঘাট টু হাতিয়ার ২গুন বেশি হলে ও তাদের ভাড়া অর্ধেক।
হাতিয়ার বর্তমান অবিভাবক মাননীয় এমপি মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। এর একটা ব্যবস্থা করুন।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অসহায় নদী ভাঙা মানুষ গুলোর কথা ভেবে ব্যবস্থা নিবেন।